গুরু-পূর্ণিমায় রথযাত্রা ও সেই উপলক্ষে রথ- নির্মান
পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠ জীবন তথা মানুষের মজ্জায় সেই আদি এবং অনাদিকাল থেকে কতই না গোপন, গুহ্য ও প্রকাশিত (উন্মোচিত) সংস্কৃতির অন্তঃসলিলা ধারার সহাবস্থান! ক্রম-বিবর্তনে এই যে মানুষের ধীরেধীরে সবাইকে ছাপিয়ে উপরের শ্রেণীতে উঠে আসা, তার মূলের অনুসন্ধানে গিয়ে, একটা জিনিসকেই মূলতঃ প্রতিভাত হতে দেখা যায়। সেটা হ'ল, পজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মানব সভ্যতায় অন্তর্লীন হয়ে গুরু শক্তির তথা গুরুপরম্পরাকে আবাহন ও স্তুতির মাধ্যমে মানবজাতির ক্রমে আত্মশুদ্ধি ও আত্ম-উন্মোচনের ক্রমোত্থিত রেখচিত্র। যেটা, সে পরম বিনম্রতায় গুহ্য ও গোপন সংস্কারে প্রোথিত করে এগিয়ে এসেছে শুধু। কোনওদিন তাকে হোঁচট খেয়ে থামতে হয়নি।

সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকেই প্রথম গুরু হিসেবে মায়ের উজ্জ্বল উপস্থিতি। তারপর, ধাপেধাপে, পায়েপায়ে প্রতিটি সন্ধিক্ষণে, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পথের বাঁকেবাঁকে নানারূপে গুরুর সান্নিধ্য ও ছায়ায় শুধুই উত্তরণ। আজ, গুরু-পূর্ণিমার মহাসন্ধিক্ষণে, সেই যাবতীয় ঋণ, যা জন্ম-জন্মান্তরকে ছুঁয়ে আছে, সেটা স্মরণ করার দিন। মহাগুরু ব্যাসদেবের পুণ্য জন্মলগ্নে মা, বাবা, গুরুদেব ও ঈশ্বরের নিকট চিরঋণ স্বীকার করার দিন। তাঁদের প্রণাম।।
************************************