প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি স্বপ্নের বাড়ি বানানোর পথে বাধা সৃষ্টি করে
আমাদের একটা বিচিত্র অভিজ্ঞতা হল, স্বপ্নের বাড়ি বানাতে গিয়ে। ১৪টা Column-এর মধ্যে তখনও দুটো হয়নি। হঠাৎ বৃষ্টি এসে সব ভাসিয়ে দেওয়ার উপক্রম করল। কি আর করা যাবে? প্রকৃতির উপরেতো মানুষের সেভাবে নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু, নিয়ন্ত্রণ যেখানে আছে, সেটা হল, নিজের মন। তাইতো, মানুষই শ্রেষ্ঠ জীব - এই পৃথিবীর। পরিস্থিতির মধ্যে থেকেই সমস্যার আশু-সমাধান খুঁজে নিতে হবে।

তবে, বৃষ্টির জলে ইতিমধ্যেই যে Column এর base foundationগুলো ডুবে গিয়েছে; সেগুলো ভীষণ ভীষণ মজবুত হয়ে উঠেছে। শুধু, ঐ জলই মাঝেমাঝে Column এর গায়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে তার মজবুতি আরও দৃঢ় হবে। আর, বৃষ্টির জলতো এখন পর্যাপ্ত পরিমানে মজুত রয়েছেই! অতএব, বৃষ্টি হলে, যেমনটা হয়, সেই বাঁধনহারা মজা অনুভব করাই যায়। তাছাড়া, থরেথরে সুখের উপাচার সাজিয়ে ধরিত্রী-মা বসে থাকবেন, এমনও কন্ট্রাক্ট' কোথাও লেখা নেই।
তবে, কোনও তুচ্ছ বাধায়, নিজের স্বপ্ন ফেলে, ফেরুপালের মতো চলে যাওয়াটা ঠিক দেখায় না! এখানে দুটো বিষয় রয়েছে - (১) যোগ্যতমের উদ্বর্তন ও (২) বীরভোগ্যা বসুন্ধরা - কথাদুটো বিশেষভাবে মনে রাখার। অবশ্যই বিনম্রতার সাথে।
১) হাল না ছেড়ে, এগিয়ে গেলে, এই উদ্যমে সাথী হওয়ার মতো উপযুক্ত লোকদেরও ঠিক পাওয়া যাবে। সে জন্য দুশ্চিন্তা, ভাবনা-চিন্তায় অযথা কালক্ষেপ না করাই ভালো।
২) বারামের জন্য ফেলা নতুন মাটি, বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে, চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে গেলেও, চিন্তার কিছু নেই। ঐ মাটির উপরে ইঁট বিছিয়ে, পোক্ত একটা রাস্তা বানিয়ে নেওয়াই যায়।
৩) বৃষ্টিতো আর কম হয়নি! কাছাকাছি হাঁটুজল। কাজেই, মাটি পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সেজন্য white sand বা সাদা-বালিই ভরসা, ভরানোর কাজের জন্য।
৪) বাঁশ কিনে, চিরে, পাটা' বানয়ে নিলে, বালি ভর্তি ভারী ভ্যানগুলো সদ্য ফেলা আলগা সাদাবালির উপর দিয়ে এগিয়ে বালি ফেলতে পারবে।

৫) প্রতিটি দিনের শেষে, শ্রান্ত পাখিগুলোও তাদের বাসায় ফেরে। একটা সামান্য বৃষ্টি যদি মনের কোণে ঘরের স্বপ্নটাকে মুছে দেবে, তবে আর মানুষ' হয়ে জন্মানো কেন?
সব থেকে ভালো হয়, চিন্তা-টিন্তা ছেড়ে, বৃষ্টির মজায় ডুবে গেলে। এগিয়ে চলার পথতো বেরবেই! যদিও, পথটা সুগম নয়।